টাঙ্গাইলে ৩০লিটার কাঁচামদসহ দুইজন আটক

টাঙ্গাইলে ৩০লিটার কাঁচামদসহ দুইজন আটক

মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম

টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলার বাশঁতৈল ইউনিয়নে গায়রাবেতিলের তায়জা চকিদারের ছেলে ফজলু মিয়ার( ৩৮) সহযোগী দুইজন কে ৩০ লিটার কাঁচা মদসহ শুক্ররার(০৪জুন) দুপুরে আটক করে র‍্যাব- ১২।

দন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন টাঙ্গাইল সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা গ্রামের অজয় সরকার (২৫) পিতাঃ নিলু সরকার, শামীম মিয়া (২৭) পিতাঃ ফরিদ মিয়া।পেশায় তারা কাঠ মিস্তিরি কাজ করে বলে জানা যায়।

এলাকা বাসী বলেন, প্রশাসন কে ম্যানেজ করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মদ বানিয়ে সোর্স এর মাধ্যমে গাজীপুর, মাওনা, কালিয়াকৈল উপজেলার কুকিলা চালা, ফুলবাড়িয়া, সখিপুরসহ আরো বিভিন্ন স্থানে পৌছিয়ে দেয় খরিদদারদের কাছে।

গায়রাবেতিলের মহিদুল ইসলাম বলেন,ফজলু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মদ বিক্রির সাথে জরিত। ফজলু মিয়ার সোর্সরা প্রতিদিন মদ নিয়ে যায় বিভিন্ন এলাকায়। ফজলু মিয়ার সোর্সদের কে বা কারা রাস্তায় আটক করে আমার জানা নাই। ফজলু মিয়ার মদ আটক করার কারনে কিছু না জেনে আমার বাড়িতে এসে আমার পরিবারের উপর হামলা করে।হামলায় আমার মার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়ে যায় । আমাদের বাড়ি থেকে ফজলু মিয়া যাওয়ার সময় হমকি দিয়ে বলে তদের কে নেশা জাত দ্রব্য দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে। ফজলু মিয়া আমার বাড়িতে এসে হামলা করে সে নিজেয় থানায় মামলা করেছে আমার নামে। কেউ কিছু বললে মামলার ভয় দেখায় ফজলু মিয়া। আশে পাশের বাড়ির লোকজন কে মামলার বয় দেখিয়ে অবাদে মদ বিক্রি করে যাতছে ।

ফসলু মিয়া গরু চুরি থেকে শুরু করে আদম ব্যাবসায়ী মদ,ইয়বা,কলকারখানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে । সোর্সদের কাউকে জিগ্যেস করলে বলে ফজলু দুলাভাই গো বাড়ি যায়তেছি।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার কাঞ্চন হোসেন বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  ফজলু মিয়ার বাড়ি তল্লাশি করে ৩০ লিটার কাঁচা মদ জব্দ করি এবং ফজলু মিয়া কে আমরা আটক করতে পারি নাই।ফজলু মিয়ার সোর্স দুইজন কে আটক করেছি তাদের কে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহাত থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন